At age 23, Stephanie Joseph noticed she was having trouble concentrating at work – that is, when she actually made it into the office. Many days, she couldn’t get out of bed. She spent hours staring at the wall, crying at the drop of a hat. And although she’d only worked for nine months as a certified public accountant for a large accounting firm, she was already in danger of losing her job.

Joseph checked into a psychiatric hospital for several weeks, where she was diagnosed with what she and physicians then thought was major depressive disorder. The diagnosis made sense at the time; after all, Joseph had experienced mood dips throughout her teens. She was prescribed an antidepressant, found a psychiatrist and started talk therapy.

It took 13 years and several doctors for Joseph, now 51, to realize she’d received the wrong diagnosis. After describing her agitated mood swings to a psychiatrist – episodes filled with anxiety, rage and impulsive shopping sprees, interspersed with prolonged periods of extreme sadness – she learned she had bipolar disorder, a psychiatric condition that affects an estimated 2.6 percent of the country’s adult population. More specifically, she had a subtype of the illness called bipolar II.

US News Health

 

অন্যান্য ডিপ্রেশনের মত বাইপোলার ডিসঅর্ডারও শনাক্ত করা হয় বিষণ্ণতা, ক্লান্তি, রুচির অভাব কিংবা ঘুমের রুটিনে পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে। কিন্তু অন্যান্য ডিসর্ডারের সাথে বাইপোলার ডিসর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি বড় পার্থক্য হল, এরা সবসময় যে শুধু বিষণ্ণই থাকে, তা না, বরং প্রায়ই এরা mania  কিংবা hypomania-তে আক্রান্ত হয়, যখন তারা হয়ে পড়ে অনেক বেশি খুশি, এনার্জেটিক।

 

জোসেফের কেস স্টাডিটার মতই বাইপোলার ডিসঅর্ডার শনাক্ত করা অনেক কঠিন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ ধরণের ডিসঅর্ডার শনাক্ত করতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গড়ে ৩.৩ টি ভিজিট দরকার হয়।  National Institute of Mental Health (USA)-এর তথ্য অনুযায়ী, বাইপোলার ডিসঅর্ডার গড় আয়ু ৯.২ বছর কমিয়ে দিতে পারে। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ আত্মহত্যার আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ আক্রান্ত ব্যক্তি নিজের ক্ষতি (Self Harm) করে থাকে।

বাইপোলার ডিসর্ডার কী?

এটা একটা মানসিক সমস্যা, যার জন্য ভিক্টিম হঠাত করেই অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়, আবার হঠাত করেই অনেক বেশি বিষণ্ণ হয়ে যায়, খুব ছোটখাটো কারণেই। অত্যধিক খুশি হওয়া সময়টাকে বলা হয় mania কিংবা hypomania, এবং এসময় ভিক্টিম প্রচন্ড রকমের এনার্জেটিক হয়ে যায়, তার এফিসিয়েন্সি চরমে উঠে যায়। এধরণের মুহূর্তগুলোতে তারা এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অথবা এমন কিছু বলে ফেলে, যেটা তারা পরবর্তীতে রিগ্রেট করে। অপরদিকে ডিপ্রেশন পিরিয়ডগুলোর লক্ষন হল কান্না, কারো চোখে চোখ রেখে কথা বলতে না পারা, জীবনের প্রতি একটা ঋণাত্বক চিন্তাভাবনা। যদিও তারা জীবনটাকে কখনো এভাবে দেখে না।

 

কারণ

ধারণা করা হয়, জীনগত এবং পরিবেশের প্রভাবেই এধরনের ডিসঅর্ডারের উপদ্রব হয়। গবেষকদের মতে, এ ধরণের ডিসঅর্ডার ৬০ শতাংশ বংশানুক্রমিক। হরমোন এবং নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতাও এর অন্যতম কারণ। ইমোশনাল কিংবা শারিরীক আঘাত এর কারণেউ এমন হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কৈশোরে এ ধরণের ডিসঅর্ডার দেখা যায়, তবে ২৫ বছরের পরেও ব্যক্তি এতে আক্রান্ত হতে পারেন। পুরুষ এবং মহিলা-উভয়ের জন্যই এটি সাধারণ হলেও দেখা যায় যে এটি পুরুষ এবং মহিলাকে ভিন্নভাবে প্রভাবিত করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিপ্রেশন পর্যায় বেশি দেখা যায়, অন্যদিকে পুরুষরা বেশি আক্রান্ত হন ম্যানিক পর্যায়ে। এবং সাধারণত এটি সারা জীবন স্থায়ী হয়।

লক্ষণ

বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মূল শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য হল Mania, সেটার মাত্রা বিভিন্ন হতে পারে। স্বল্প মাত্রার Mania-কে বলা হয় হাইপোম্যানিয়া (hypomania)। এবং এতে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেক এনার্জেটিক এবং উত্তেজিত অনুভব করেন, এবং তার কর্মদক্ষতাও অনেক বেড়ে যায়। Mania আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যেতে থাকলে আক্রান্ত ব্যক্তি অস্থির কিংবা আবেগপ্রবণ, impulsive আচরণ করতে থাকেন। তারা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিভিন্ন অলীক চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করেন, এবং তাদের ঘুম অনেক কমে যায়। চরম পর্যায়ে Mania-তে আক্রান্ত ব্যক্তি জগত সম্পর্কে পুরোপুরি কাল্পনিক ধারণার অধিকারী হয়ে পড়েন, যাকে বলা হয় psychosis। এধরণের mania-র পরবর্তী পর্যায় হিসেবে সাধারণত থাকে একটি ডিপ্রেশন পর্যায়। ঠিক কী কারণে mania কিংবা hypomania থেকে ডিপ্রেশন পর্যায়ে সুইচ হয়, সেটা সম্পর্কে এখনো বিজ্ঞানীরা সঠিক কোনো ধারণা দিতে পারেননি।

ম্যানিক পর্যায় (Manic Episodes)

Mania সাধারণত অন্তত এক সপ্তাহের একটি পিরিয়ড বোঝায়, যে সময় আক্রান্ত ব্যক্তি খুব ভাল মুডে থাকেন, তিনি হয়ে ওঠেন আনন্দ-চঞ্চল। এধরণের সময়ে নিচের কয়েকটি আচরণ লক্ষ করা যায়ঃ

  • খুব দ্রুত কথা বলতে থাকেন, কথার মাঝে বাধাগ্রস্ত হতে পছন্দ করেন না
  • অনেক বেশী কথা বলেন
  • খুব সহজেই distracted হয়ে যান
  • সর্বদা নানা ধরণের চিন্তা-ভাবনায় মগ্ন থাকেন
  • এক বা একাধিক নির্দিষ্ট লক্ষে অত্যন্ত পারদর্শীভাবে কাজ করতে থাকেন
  • আবেগপ্রবণ আচরণ করতে থাকেন
  • টাকা-পয়সা যা আছে, সব উড়িয়ে দেন
  • hypersexuality-তে ভোগেন
  • তাদের জাজমেন্ট দুর্বল হয়ে যেতে পারে

এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আচরণের সাথে যখন ব্যক্তি সোশ্যাল ইনট্যারেকশন থেকে দূরে সরে যেতে থাকেন, তখন সেটা manic পর্যায় হতে পারে। যথাযথ ভাবে ট্রীট করা না হলে এটি তিন থেকে ছয় মাস স্থায়ী হতে পারে।

চরম পর্যায়ে চলে গেলে ব্যক্তি মনে করতে থাকেন যে তিনি “The chosen one”, এবং তাকে কোনো বিশেষ মিশনে পাঠানো হয়েছে। বাইপোলার ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ ব্যক্তি এধরণের delusion কিংবা hallucination-এ ভুগে থাকেন।

 

হাইপোম্যানিয়া পর্যায় (Hypomania Episodes)

ম্যানিয়ার স্বল্প মাত্রার রূপই হল হাইপোম্যানিয়া। এটি অন্তত চার দিন স্থায়ী হয়, কিন্তু এটি ব্যক্তির সোশ্যাল ইনট্যারেকশনে কোনো প্রভাব ফেলে না। সার্বিকভাবে এধরণের পর্যায়ে ব্যক্তির অ্যাক্টিভিটিজ বেড়ে যায়, এবং ধারণা করা হয় এটি ডিপ্রেশনের বিরুদ্ধে একধরণের ডিফেন্স ম্যাকানিজম হিসেবে কাজ করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাইপোম্যানিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির মাঝে বাড়তি সৃজনশীলতা দেখা যায়্‌, কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই তার জাজমেন্টে সমস্যা থাকে।  খুব কম সময়ই হাইপোম্যানিয়া ম্যানিয়াতে রূপ নেয়।

হাইপোম্যানিয়া আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে ভাল লাগতে পারে। একারণে পরিবার কিংবা কাছের কেউ যখন তার মুড সুইং বুঝতেও পারে, তখনো আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত সেটি মেনে নিতে চান না।

 

ডিপ্রেশন পর্যায় (Depressive episodes)

ডিপ্রেশন পর্যায়ের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলঃ

  • বিষণ্ণতা
  • উদ্বেগ
  • অপরাধবোধ
  • রাগ
  • একা থাকতে চাওয়ার প্রবণতা
  • হতাশা
  • কিছু খেতে না চাওয়া
  • ক্লান্তি
  • ঘুমের অভাব
  • সচরাচর যেগুলো ভাল লাগে, সেগুলোতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
  • নিজেকে ঘৃণা করা
  • মনোযোগের অভাব
  • নিজের স্বভাববিরুদ্ধ কাজ করা
  • যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলা
  • দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা
  • মটিভেশন হারিয়ে ফেলা
  • আত্মহত্যার চিন্তা
  • ভয়ংকর হ্যালুসিনেশন

বড় ধরণের ডিপ্রেশন পর্যায়গুলো অন্তত দুই সপ্তাহ স্থায়ী হয়, এবং যথাযথ ট্রিটমেন্ট নেওয়া না হলে প্রায় ছয় মাস স্থায়ী হতে পারে।

মিশ্র পর্যায় (Mixed affective episodes)

এ ধরনের পর্যায়ে ব্যক্তি ম্যানিয়া এবং ডিপ্রেশন একই সাথে অনুভব করতে থাকেন। হয়তো দেখা যায় তার মাঝে এক দিকে কাজ করছে বড় ধরণের চিন্তাভাবনা  (chosen one), অন্যদিকে সে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারার অপরাধবোধে ভুগছে, কিংবা আত্মহত্যা করতে চাচ্ছে। এ পর্যায়টি আত্মহত্যার জন্য সর্বাপেক্ষা high-risk বলে ধারণা করা হয়।

সোশ্যাল ইনট্যারেকশন

ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে, এ ধরণের ডিসঅর্ডার অনেক বড় প্রভাব ফেলে ব্যক্তির সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে। অনেক ক্ষেত্রেই এরা মনে করতে থাকেন যে, তাদেরকে কেউ পছন্দ করবে না, কিংবা তাদেরকে তাদের মত করে কেউ মেনে নিতে পারবে না। এবং বর্তমান সমাজ কাঠামোতে এটিই সাধারণত হয়ে থাকে। তাই বেশির ভাগ সময়েই ব্যক্তির কারো সাথে কথা বলতে কিংবা দেখা করতে ইচ্ছা করে না। এবং চারপাশের মানুষের সাথে তার সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি অনেক বড় প্রভাব ফেলে। কাছের মানুষদের কাছে ব্যাপারগুলো অসহ্য হয়ে ওঠে। কিন্তু এই মানুষগুলোকেই আক্রান্ত ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি দরকার হয়। কারণ সে সাধারণত কারো সামনে তার চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করে না, যদি না কাউকে সে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে পারে। এ ব্যাপারে Healthy Place-এ বেশ ভাল একটি ব্লগ আছে। কারো কাছের কেউ এ ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত হয়ে থাকলে পড়ে দেখবেন। কারণ, আপনি তার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ!

ডায়াগনসিস এবং চিকিৎসা

সাধারণত মেডিকেশন কিংবা থেরাপির মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। আমি বিশেষজ্ঞ না, তাই এ বিষয়ে বেশি কিছু লিখছি না! আপনার যদি মনে হয় আপনি মানসিক কোনো সমস্যায় ভুগছেন, একজন মনোবিজ্ঞানী এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আমার লেখা শেষ! একটু গুরুগম্ভীর লেখা হয়ে গেল! মুড হালকা করার জন্য এই লেখাটি পড়ে আসতে পারেন!

 

রেফারেন্স

Muntasir Wahed

Muntasir Wahed

System Administrator at স্বশিক্ষা.com
Jack of all trades, master of none.
Muntasir Wahed
Muntasir Wahed