বইপত্রে লেখা থাকে মানবদেহ দ্বিপার্শ্বীয়ভাবে প্রতিসম। কিন্তু ব্যপারটা কতটুকু সত্য, আমরা কখনো তা ভেবে দেখেছি কি! না ভাবলে ক্ষতি নেই, আপাতত আমার পক্ষ থেকে থাকছে এ বিষয়ে ভাববার কিছু খোরাক(কিছু নিরীহ তথ্য)। কিছু তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবেই অসম্পূর্ণ। কারণ আমার আশা হচ্ছে, আপনারা তথ্যের পূর্ণরূপটা নিজদায়িত্বে খুঁজে নেবেন। শত হোক site এর নাম তো “স্বশিক্ষা”!
- যাঁরা ডানহাতি, তাদের ডান হাতের নখ বাম হাতের নখের তুলনায় দ্রুত লম্বা হয়। Vice-versa.
- হাত-পায়ের ছাপ অপ্রতিসম। (এগুলো কীভাবে গঠিত হয় তা আমাকে জিজ্ঞেস করার আগে Google করুন)
- মুখমণ্ডলের ডান ও বাম পাশ ব্যপকভাবে অপ্রতিসম। অ্যাঞ্জেলিনার এই ছবি তিনটা দেখলে ব্যপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবার কথা।
- সাধারণত মানুষ একটা কানে অপরটার তুলনায় একটু বেশী শোনে।
- হৃদপিণ্ডের একপাশের প্রাচীর পুরুত্বে অপরপাশের তিনগুণ। পুরো হৃদপিণ্ডই দ্বিপার্শ্বীয় অপ্রতিসাম্যের জাজ্জ্বল্যমান দৃষ্টান্ত।(Comment section-এ এর স্বপক্ষে বক্তব্য আশা করা যাচ্ছে)
- একপাশের ফুসফুসের লোব (lobe) অপরপাশের তুলনায় একটা কম।
- পৌষ্টিক তন্ত্র (Digestive System) অপ্রতিসাম্যের দিক দিয়ে অন্য সব অঙ্গ বা তন্ত্রের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে আছে। পাকস্থলী(Stomach), প্লীহা(Spleen), অগ্ন্যাশয়(Pancreas), পিত্তথলি(Gallbladder), অ্যাপেন্ডিক্স(Appendix) ইত্যাদির অবস্থান এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য।
- সর্ববৃহৎ গ্রন্থি হিসেবে যকৃত(Liver)-ও তার চার-চারটি লোব(Right, Left, Quadrate, Caudate) নিয়ে অপ্রতিসাম্যের দিক দিয়ে তার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে।
- বৃক্ক(Kidney) একটা আরেকটার অল্প উপরে অবস্থিত।
- বড় স্ক্রোটামটা কিঞ্চিৎ ঝুলে থাকে।
- Thymus, Adrenal(Guess where they are?) ইত্যাদির আকার অপ্রতিসম।
- ধমনীতন্ত্র(Arterial System) এর প্রধান অপ্রতিসাম্য হচ্ছে brachiocephalic artery.
Post Script: উল্লেখিত সমস্ত তথ্যেই ব্যাতিক্রম এবং অণুবীক্ষণিক অপ্রতিসাম্য পরিহিত হয়েছে। একটি দূর্লভ রোগ (Any guess?) না থাকলে অভ্যন্তরীণ অপ্রতিসাম্য সবারই একদিকাভিমুখী। এছাড়া Scoliosis রোগীর মেরুদণ্ড(Spine) সর্পিল বিধায় অপ্রতিসম।