মৌমাছি, মৌমাছি, কোথা যাও নাচি নাচি দাঁড়াও না একবার ভাই।
ওই ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময় তো নাই…

মৌমাছির এই অসম্ভব ব্যস্ততার কারণে আমাদের খুব কাছে থাকা সত্ত্বেও এদের সম্পর্কে আমরা খুব বেশি একটা জানি না। এদের কাছে যাওয়ারও সাহস হয় না তাদের মারাত্মক অস্ত্র – হুলের কারণে। তারপরও রাস্তা ঘাটে মৌচাক দেখলে ঢিল ছুড়তে মোটেও দেরি করি না 🙂 । এমনিতে মৌমাছি কখনও বিনা কারণে কাউকে আক্রমণ করে না, এরা খুবই শান্তি-প্রিয় প্রাণী। কিন্তু অস্তিত্বের প্রশ্নে কোন ছাড় নেই, তখন এরা এদের একমাত্র হুল নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা করে না।
মৌমাছি  খুবই পরিশ্রমী, দলবদ্ধ এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রাণী। এদের জীবন চলে ঘড়ি ধরে, গাণিতিকভাবে। এদের সমাজে সবার কাজ নির্দিষ্ট, চেইন অফ কমান্ড এর বিন্দুমাত্র নড়চড় হয় না কখনও; হয় না কোন বিদ্রোহ। এখানে দুর্বলের কোন স্থান নেই, অত্যাচারীও নেই এখানে। নিজ দায়িত্ব পালনে নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও এরা পিছপা হয় না কখনই। কঠোর পরিশ্রমী, আত্ম-ত্যাগ ও নিষ্ঠাই এদের এত ৩০ মিলিয়ন বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছে।
তাহলে আসুন প্রবেশ করা যাক, এরকম আরও অসংখ্য বৈচিত্র্য দিয়ে সাজানো এদের জীবনে; জেনে আসা যাক এদের প্রভাব, ক্ষমতা, প্রয়োজনীয়তা এবং কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

মৌমাছির সবচেয়ে আকর্ষণীয় কিংবা অসাধারণ গুণের কথা বলতে চাইলে বলা যায় মৌমাছির নৃত্ত (The Waggle Dance) এর কথা। তবে এ নাচ শুধুই নাচ নয়, এ নাচের মাধ্যমেই মৌমাছিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ, খবরাখবর আদান প্রদান করে থাকে। মৌমাছির এই অদ্ভুত কম্যুনিকেশনের পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানী কার্ল ফন ফ্রিস্ক। তিনিই প্রথম উদ্ভাবন করেন যে, মৌমাছি নাচ এর মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে কম্যুনিকেশন করে ।
মৌমাছির রয়েছে অসাধারন দিক জ্ঞান এবং নিখুঁত দুরুত্ব মাপার কৌশল। কোন মৌমাছি যখন খাবারের অথবা মধুর নির্যাসের কোন উৎস (ফুল) খুঁজে পায় তখন সে মৌচাকে এসে নাচ এর মাধ্যমে সকলকে খবর দেয়। সে দেহ দোলাতে থাকে এবং নাচতে থাকে এমন এক পথ ধরে যার মাধ্যমে সে উৎসের দিক বোঝাতে পারে। এবং এরা এই দিক ঠিক করে সূর্যের সাপেক্ষে যাতে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম দিক বোঝা যায়। [চিত্র]

307_1      bee-waggle-dance

মৌমাছির নাচের সময়ব্যাপ্তি এবং কম্পনের (দোলা) সংখ্যা দিয়ে সে বোঝায় ঠিক কত দূরে আছে ফুল এবং ফুলে কি পরিমাণ মধুর নির্যাস রয়েছে, যেমন ১ সেকেন্ডের দোলন বোঝায় উৎস রয়েছে ১ কিমি দূরে।

                                                                     Bee_dance

এসব তথ্য এবং সূর্যের গতিবিধি’র নিখুঁত হিসেব করে মৌমাছি’রা ফুল/খাবার এর কাছে পৌঁছানোর নুন্যতম ও সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দুরুত্ব বের করে ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে, মৌমাছির এই সকল হিসেবের দক্ষতা কম্পিউটারের চেয়ে বেশি এবং সময়ও লাগে কম। উল্লেখ্য মৌমাছি সূর্যের গতি হিসেব করতে পারে এবং পৃথিবী গোল বিধায় হিসেবে যে বক্রতার একটা ব্যাপার আসবে তাও তাদের নাচের মাধ্যমে প্রকাশ করে।

মৌমাছি সূর্যকে কম্পাস হিসেবে ব্যবহার করে চলাফেরা করে। তাই যখন আকাশ মেঘলা থাকে, সূর্য মেঘের আড়ালে হারিয়ে যায়; তখন এরা এদের বিশেষ ফটো-রিসেপ্টর ব্যবহার করে  পোলারাইজড আলো কাজে লাগিয়ে সূর্যের সঠিক অবস্থান বের করে ফেলে। এজন্য আল্ট্রা-ভায়োলেট আলোরও সাহায্য পড়ে, সে ক্ষমতাও আছে এদের। এছাড়াও সূর্য আর সবসময়ে সর ঋতুতে এক জায়গায় থাকে না; তাতেও সমস্যা নেই। কারণ, মৌমাছির মাথায় আছে প্রাকৃতিক ঘড়ি; যার মাধ্যমে এরা সূর্যের গতিবিধি সবই হিসেব করতে পারে।

মৌমাছির এই কম্যুনিকেশন কোড ব্রেক করার জন্য ফন ফ্রিস্ককে ১৯৭৩ সালে নোবেল প্রাইজ দেয়া হয়। আগ্রহী’রা আরও বিস্তারিত জানতে সরাসরি তার নোবেল লেকচার পড়তে পারেনঃ Decoding The Language Of The Bee

এছাড়া উপরের এই ঘটনা বিউটিফুল ভাবে ফাঁস করেছে ‘জর্জিয়া টেক কলেজ অফ কম্পুটিং’ (ভিডিও সহ) 😀

মৌমাছি মানুষের মুখ মনে রাখতে পারে 😳 , যেই গুন আর অন্য কোন পোকার নেই।
মৌমাছি গাণিতিক হিসেবেও বেশ দক্ষ, তা নাহলে মৌচাকের সবগুলো কুঠুরি দেখতে একই রকম হত না। মৌমাছির বংশ বৃদ্ধিতেও গণিতের হিসেব দেখা যায়। এদের সংখ্যা বাড়ে ফিবনোচ্চি ধারা অনুযায়ী ১,১,২,৩,৫,৮,১৩,২১ টি এভাবে করে। যার ফলে হাজার হাজার মৌমাছির সংখ্যা বিবেচনায় আনলে এদের সংখ্যাবৃদ্ধির অনুপাত গোল্ডেন রেশিও। এছাড়া আরো নানা কাজে তাদের গণিতের প্রয়োগের ব্যাপারে আগ্রহী হলে পড়ে দেখতে পারেন …The Honeycomb Conjecture।

অনেকের মনেই ছোটবেলায় প্রশ্ন জাগে যে , মৌচাকের প্রতিটা কুঠুরি দেখতে ষড়-ভূজাকার কেন; কারণ, মৌমাছি হল দ্য বেস্ট ন্যাচারাল আর্কিটেক্ট।

ষড়-ভূজাকার ঘর কেন? (ভিডিও সহ 😛 )

মৌমাছির লক্ষ্য কি? সর্বাধিক মধু সংগ্রহ করা। মধু রাখার জন্য মোম দিয়ে ঘর বানাতে হবে। তাই তাদের এমন একটি পন্থা বেছে নিতে হবে যাতে ঘরের আয়তন সর্বাধিক হয়, আবিষ্টকারী মোমের দেয়াল সর্বনিম্ন হয় এবং কোন জায়গা নষ্ট না হয়। এ চিন্তা থেকে প্রথমেই মাথা আসে বৃত্তাকারের কথা। কিন্তু বৃত্তাকারে অনেক জায়গা নষ্ট হয়।

honeycomb-pattern

তাই বৃত্তাকার বাদ। তাহলে কেন ত্রিভুজাকার/চার-কোনাকার/পঞ্চ-ভূজাকার নয়? সেখানেও কোন জায়গা নষ্ট হয় না। আসলে সেসব ক্ষেত্রে জায়গা নষ্ট হয় না ঠিকই, কিন্তু তা করতে গেলে ঘরের দেয়াল বেশি লাগে, মোম বেশি লাগে। মোম বেশি তৈরি করতে গেলে মধু কম তৈরি করতে হয় (কারণ উপাদানে মিল আছে)। তাই সবচেয়ে অপ্টিমাম , দ্য মোস্ট আর্কিটেক্টচারাল গঠন হল ষড়ভূজাকার।

মৌমাছির বেগ ঘণ্টায় ১৫ মাইল এবং এরা ৬ মাইল পর্যন্ত উড়তে সক্ষম। এদের পাখা ঝাপটানোর গতি ২০০ বিট/ সেকেন্ড। এ জন্যই এদের গুনগুনানি অনেক দূর থেকেও শোনা যায়।

মৌমাছিই একমাত্র পোকা যা মানুষের খাদ্য তৈরি করে। এক একটা মৌচাকে প্রায় ২০০০০-৮০০০০ মৌমাছি থাকে ( শীতকালে অনেক কম এবং গ্রীষ্মে অনেক বেশি)। অঙ্গসাংস্থানিক ও কাজের ভিত্তিতে মৌচাকে প্রধানত ৩ ধরনের মৌমাছি থাকে – কর্মী মৌমাছি, পুরুষ মৌমাছি এবং রাণী মৌমাছি।

শুধু কর্মী মৌমাছিরই বিষাক্ত হুল থাকে, এবং এরাই আমাদের আশে পাশে ঘুড়ে বেড়ায়। তবে মৌমাছির হুল কিন্তু একবারই ব্যবহার করা যায় এবং হুল একবার ফুটালে মৌমাছিরও মৃত্যু ঘটে (ভাগ্য ভাল থাকলে ভিন্ন কথা)। তবে তারা মৃত্যুর জন্য মোটেও পরোয়া করে না, নিজ কলোনি রক্ষা করতে এরা নির্দ্বিধায় হুল ফুটিয়ে আত্ম-ত্যাগ করে। মৌমাছির হুলের বিষ কিন্তু খুবই সম্ভাবনাময় ও বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়। মৌমাছির হুলের বিষ HIV চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন। HIV আক্রান্ত কোষে এই বিষ প্রয়োগ করে এ নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানী’রা।

এত সম্ভাবনাময় হওয়ার পরও হুল নিয়ে আমাদের আতঙ্ক 🙄 । কতগুলো মৌমাছি হুল ফুটালে তা মরণঘাতী হতে পারে? গিনেজ রেকর্ড এর হিসেব বাদ দিলে চিকিৎসকদের গবেষণা বলছে, একটা মানুষ মারতে ১১০০ হুল (বিষ) দরকার। তাই ৫-১০-১০০ টা মৌমাছি হুল ফুটালে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই 🙂 ; আবার এতে খুশি হওয়ারও কিছু নেই 🙁 ।

মৌচাকের প্রায় ৯৯ ভাগ মৌমাছিই কর্মী মৌমাছি এবং সকল কর্মী মৌমাছিই নারী। কিন্তু নারী হলেও এরা যৌনতার দিক থেকে অক্ষম, এরা প্রজননে অংশ নেয় না 🙁 । তবে এরাই কিন্তু মৌচাকের মূল চালিকা শক্তি। মৌচাক তৈরি, রক্ষণাবেক্ষণ, পুরুষ,রাণী এবং লার্ভাদের জন্য খাবার সংগ্রহ , লার্ভাদের লালন পালন, ফুলে ফুলে উড়ে মধুর নির্যাস সংগ্রহ, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি সকল কাজ শুধু এরাই করে থাকে। এক-একটা কর্মী মৌমাছি মধু সংগ্রহের জন্য বের হলে আশে-পাশের ৫ কি.মি. জুড়ে প্রায় ৫০-১০০ টা ফুলে ঘুড়ে বেড়ায়। এবং ফুলে মধু আসার মৌসুমে (গ্রীষ্মে) এরা এতটাই পরিশ্রম করে যে, মাত্র ৬ সপ্তাহ বাঁচে। অথচ ভাটার মৌসুমে এরা প্রায় ৯ মাস বাঁচে। আক্ষরিক অর্থে এরা মধুর জন্য জীবন উৎসর্গ করে দেয় 😯 । এবং এক একটা তাজা প্রাণের বিনিময়ে গোটা জীবনে সংগৃহীত হয় মাত্র ১/১২ চামচ মধু। তবে সামগ্রিকভাবে দেখলে ব্যাপারটা অন্যরকম,

১ কেজি মধুর জন্য……
১ কেজি মধুর নির্যাস সংগ্রহের জন্য ১১০০ কর্মী মৌমাছি প্রায় ৯০ হাজার মাইল পাড়ি দেয়, যেটা কিনা চাঁদের কক্ষপথের প্রায় ৩ গুন। এ পরিক্রমায় ১১০০ মৌমাছি প্রায় ৪০ লক্ষ ফুলে ঢুঁ মারে।
সব কিছু ঠিক থাকলে এক একটা মৌ-চাকে ভাল এক মৌসুমে প্রায় ৫৫ কেজি মধু জমা হয়। এসব তথ্য থেকেই কর্মী মৌমাছির অসম্ভব পরিশ্রমের চিত্র ফুটে ওঠে।

Bee-collecting-pollen-010

সেই তুলনায় দলের ওয়ান-অ্যান্ড-ওনলি রাণী মৌমাছি মোটামুটি রাজার হালে দিন কাটায়। সে তার ২-৫ বছরের জীবন ডিম পেড়েই কাটিয়ে দেয় 😯 , এবং পুরো মৌচাকে সে একাই ডিম পাড়ে। প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৫০০-২৫০০ টি করে ডিম (অথবা ডিম্বাণু) পাড়ে, ডিম পাড়ার বেগ থাকে গড়ে ২৫ সেকেন্ড/ডিম 😯 । এবং প্রতিটা ডিম পাড়ার সময়েই সে সামনের ঠ্যাঙ দিয়ে ডিমের আকার বোঝার চেষ্টা করে 🙄 । যদি ডিমের আকার ছোট হয় তবে রাণী তার গ্রন্থি থেকে সামান্য সিমেন লাগিয়ে দেয় ডিমের ওপর, যা ডিমকে নিষিক্ত করে এবং নিষিক্ত ডিম থেকে কর্মী মৌমাছি জন্মায়। আর যদি ডিমের আকার বড় হয়, তখন রাণী ডিমে সিমেন দ্বারা নিষিক্ত করে না। এবং এই অনিষিক্ত ডিম্বাণুই পরে পুরুষ মৌমাছিতে রূপান্তরিত হয়। অর্থাৎ কর্মী (নারী) মৌমাছি ডিপ্লয়েড কিন্তু পুরুষ মৌমাছি হ্যাপ্লয়েড। পুরুষে শুধু রাণী মৌমাছিরই জিন থাকে।
যেহেতু রাণী ডিম পাড়াতেই প্রচুর ব্যস্ত থাকে, তাই তার ভরণ-পোষনের দায়িত্ব নেয় কম বয়সী কর্মী মৌমাছি’রা। এবং সকল কর্মী মৌমাছিই জীবনের কোন না কোন সময়ে এ কাজ করে থাকে। মূলত তাদের কাজ ভাগ হয় বয়স অনুসারে :
কর্মী মৌমাছি : (বয়সঃকাজ) : (১-২ দিন : মৌচাক পরিষ্কার), (৩-৫ দিন : পুরোন লার্ভাদের খাওানো), (৬-১১ দিন : নতুন লার্ভাদের খাওয়ানো), (১২-১৭ দিন : মোম, মৌচাক তৈরি), (১৮-২১ দিন : মৌচাক রক্ষণাবেক্ষণ, পাহারা দেয়া), (২২-বাকি জীবন : ফুলে ফুলে মধুর নির্যাস সংগ্রহ)।
পুরুষ মৌমাছি’র স্বভাব বেশ অদ্ভুত। এরা জীবনেও কোন কাজ করে না; এমনকি খাবারও কর্মী মৌমাছি এদের মুখে তুলে দেয় 😮 । তবে তাদের বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য কি 😡 ? হ্যা তাদেরও একটা লক্ষ্য আছে, এদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য রাণী মৌমাছির সাথে মিলন। ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা যাক,
এক একটা মৌচাকে প্রায় ১০০’র মত পুরুষ মৌমাছি থাকে। মিলন মৌসুমে প্রতিদিন দুপুরবেলা কোন এলাকার সকল মৌচাকের সকল পুরুষ (সাবালক) সদস্য এলাকার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় ভিড় জমায়, যাকে বলে “পুরুষ ধর্মসভা এলাকা (drone congregation area)” এর অবস্থান মাটি হতে ১৫-৪০ মিটার। এই ধর্মসভায় কি আলোচনা হয়? 😯 সেটা পরে দেখব আমরা 🙂 ।
অন্যদিকে কাকতালীয়ভাবে একই সময়ে প্রতিটা মৌচাক থেকে সাবালিকা (৭ দিন বয়সী মৌমাছি) রাণী মৌমাছি ঘুরতে বের হয় ( উল্লেখ্য এই রাণী মৌমাছি কিন্তু ভার্জিন 😯 )। এরপর উড়তে উড়তে রাণী মৌমাছি হটাৎ করে চলে আসে পুরুষ ধর্মসভা এলাকায় ( কিভাবে রাণী এ এলাকা খুঁজে পায়, সেটা একটা রহস্য 😯 )। সে এসেই এক বিশেষ ধরনের ফেরোমেনন (গন্ধ) ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে শত শত পুরুষ মৌমাছি’রা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এবং এরপরই……

বাকি অংশ আগামী পর্বে 😛 …