প্রথমেই আমার নিজের জীবগবেষণার অভিজ্ঞতা দিয়ে শুরু করছি। (জীবগবেষণায় জড়িত না থাকলে এই প্যারা বাদ দিয়ে পড়ুন।)
প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণা বা একাডেমিক রিসার্চ এর সাথে আমার সম্পর্ক আজ পাঁচ বছর (কয়েকটা দিন বেশি বা কম)। শুরু হয় আইসিডিডিআরবিতে জুলাই, ২০১১ তে ইমার্জিং ডিজিজ এন্ড ইমিউনোবায়োলজি ল্যাবে যোগদানে মাধ্যমে। সেখানে থিসিস এবং পরে রিসার্চ অফিসার হিসেবে যোগদান (নভেম্বর, ২০১২ থেকে আগস্ট, ২০১৩)। আমার গবেষণার মূল বিষয় ছিলো, গিয়েন বারি বা গুলিন বারি রোগের জিনভিত্তিক ভিন্নতার সাথে রোগের তীব্রতা ও প্রবণতা সম্পর্ক বের করা। ওলন্ডাজল্যান্ডে (নেদারল্যান্ডস) আসার আগেরদিন পর্যন্তও আমি কর্মরত ছিলাম। ইরাসমাস মেডিকলে সেন্টারে, যেটি ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির সাথে সংযুক্ত (ইরাসমাস মুন্দাস নয়), ইনফেকশান এন্ড ইম্যুউনিটি তে রিসার্চ মাস্টার্স করতে আসি। এই প্রোগ্রামে অন্তত ১৬ মাসের গবেষণার (পূর্ণ একটি বা ১টি ছোট-৬ মাস ও ১টি বড়-১০ মাস) অভিজ্ঞতা লাগে গ্র্যাজুয়েট হবার জন্য। আমার প্রথম প্রজেক্ট ছিলো, “এইচআইভি এর প্রচ্ছন্নতা (লেটেনসি- পাদটিকা দেখুন) এর জন্য দায়ী কারণগুলো বের করার জন্য দুটি রঙা (দুটি ফ্লুরোসেন্স রঙ) চিহ্নিতকরণ হ্যাপ্লয়েড মডেল সিস্টেম(হ্যাপ্লয়েড মডেল সিস্টেম-পাদটিকা দেখুন)তৈরি করা ”, দ্বিতীয়টি ছিলো “হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের জন্য স্টেমসেল নির্ভর লিভার অর্গানয়েড (লিভার অর্গানয়েড- পাদটিকা দেখুন) মডেল সিস্টেম তৈরি করা। ” সাইড প্রজেক্ট হিসেবে ১. এইচআইভি এর লেটেনসি ভঙ্গকারী ছোট যৌগের কার্যকারিতার (ট্রান্সক্রিপশনাল লেটেনসি রিভার্সাল এজেন্ট) জন্য জিনের এক্সপ্রেশন বের করে কোন যৌগ সম্ভাব্য প্রাইমারী মডেলের জন্য কার্যকর হবে বের করা ২. কোলন বা কলোরেক্টাল ক্যান্সার গবেষণার জন্য দুই ধরণের রঙ (জিএফপি এবং চেরি) এবং রঙ বাদে স্হায়ী (স্ট্যাবল) সেল লাইন(কোষ) তৈরি করা। থিসিস শেষে প্রধানত লিভার অর্গানয়েড এর মডেল সিস্টেম নিয়ে কাজ করছি রিসার্চ এনালিস্ট (ল্যাব টেকনিশিয়ান-নভেম্বর,২০১৫ থেকে)। আমার গবেষণার আগ্রহের বিষয় বস্তু হচ্ছে মলিক্যুলার ভাইরোলজি, সুনির্দিষ্টভাবে বলতে ভাইরাল ডিজিজ মডেল সিস্টেম- স্টেম সেল নির্ভর অর্গানয়েড সিস্টেম এবং ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধি এবং রোগের সংক্রমণতার কারণ উৎঘাটন। এই পুরো লেখাই আমার এই গবেষণা সময়কালের অভিজ্ঞতা থেকে।
আমার এখনকার যে বস আমার প্রথম প্রজেক্টের রিভিউ এর সময় বলেছিল আমার যে বিষয়টা তার ভালো লাগে, তা হলো আমি প্রশ্ন করি (যতবড় বিজ্ঞানী হোক আর যতই ভালো প্রটোকল থাকুক) এবং আমি নাকি এমন প্রশ্ন করি যেটা প্রথাগত না। জ্বি হ্যাঁ, আমি নিজেও স্বীকার করি আমার প্রশ্নের ৯৯.৯% থাকে খুবই স্টুপিড ধরণের এবং খুব টেকনিক্যাল প্রশ্ন (মোটামুটি অনেক ল্যাব টেকনিক নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতার সুবাদে)। আমাকে ডেকে একবার প্রোগ্রামের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেছিল, নো কুয়েশ্চন ইজ স্টুপিড বাট নট আস্কিং কুয়েশ্চন ইজ স্টুপিড (ক্লাসের কেউ একজন আমার প্রশ্নে বিরক্ত হয়ে অভিযোগ দিয়েছিলো)। এখন কিছুটা বুঝি কেন কারো কাছে কাছে আমার প্রশ্ন কেন সঠিক নয়। আমার বস প্রবলেম দিয়ে বলতো, বলো এখানে কি প্রশ্ন করা উচিত (ল্যাবের গবেষণার ধরণ অভিজ্ঞতার আলোকে) এবং কোন উত্তর খুঁজবো? আমার এখনকার প্রশ্ন এবং উত্তর তাই অনেক প্রাসঙ্গিক আমি মনে করি। এটার জন্য ল্যাবে প্রায় এক বছর লেগেছে।
বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট একটা বিষয়ে এবং ঐ বিষয় সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে সর্বোচ্চ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হয়। অন্যান্য বিষয়ে তাদের জ্ঞান এবং আগ্রহ খুবই কম থাকে। এটা তাদের সমস্যা সমাধান এবং কোন একটা বিষয়ে সর্বোচ্চ জ্ঞান রাখার জন্য জরুরী। আমি কয়েকটা জার্নাল ফলো করি কিন্তু শুধু ভাইরাস (রেট্রো, হেপাডিএনএ, হেপাসি, ফ্লাবি ইত্যাদি), মলিক্যুলার বায়োলজি (কোষের সিগনালিং- অল্প) এবং এভ্যুলুশন (অল্প) বিষয়গুলোর খোঁজ রাখার জন্য। সাথে চমৎকার কোন ইম্যুউলজির বা মাইক্রোবায়োলজির কোন গবেষণা থাকলে পড়ি। সাথে নতুন কোন টেকনোলজি বা মেথড আসলো কিনা সেটারও খোঁজ রাখতে হয়। এখন বলতে পারেন এত কম বিষয় পড়ে গবেষক হওয়া যায়? এখানে বিষয় কম পড়া নয়, বিজ্ঞানের মোটামুটি সব বিষয়ে আমাদের জ্ঞান রাখতে হয় তবে জার্নাল পড়া হয় কোন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হবার জন্য। বিশেষ করে গবেষণায়, আপনার একাডেমিক জ্ঞান না থাকলে সে বিষয়ে আপনি বলতে পারবেন না আপনি সে বিষয়ে ভালো জানেন।
সাধারণ ফেসবুকার আর ইন্টার্নেট ব্রাউজিং এ এক্সপার্টদের সাথে এটাই পার্থক্য। তারা ৩০ মিনিটের ইন্টার্নেটের আজাইরা লিংক আর নিউজ পোর্টাল পড়ে বায়োলজির জ্ঞান আপনাকে দিবে, যেখান আপনি সাত বছর(২০০৭-১২, ২০১৩-১৫) ধরে একাডেমিক পড়াশোনা একই সাথে প্রায় ৫ বছরের গবেষণায় যুক্ত থেকে আপনি নিজেকে দাবি করবেন আপনি কিছুই জানেন না। এই কিছু না জানা স্বীকার করা রন ফুসিয়ারের মতো বাঘা ভাইরোলজিস্টরাও করে। এইসব বিজ্ঞানীদের কাছে বই হলো ওল্ড(পুরনো) এদের কাছে একমাত্র আপডেটেড হচ্ছে জার্নাল এবং সেটা বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্য গবেষণা হতে হবে।
এবার আসি, প্রশ্নে। (দু:খিত বড় প্রারম্বিকতা জন্য)
প্রশ্ন করা আগে কি চিন্তা করবেন?
১. গবেষকের গবেষণার ধরণ
আগেই বলেছি বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় এবং টপিকে নিজেদেরকে এক্সপার্ট করে তুলে। কোন বিষয়ে আবছা ধারণা থেকে বা অনুমান থেকে এরা কথা বলবে না ।বিজ্ঞানীদের কাছে আবছা ধারণা হলো কয়েকটা গবেষণা পত্র সে ইতিমধ্যে এই বিষয়ে পড়েছে কিন্তু সেটা এটার গত মাসের গবেষণার আপডেট জানে না। আর হাইপোথিসিস সাধারণ মানুষের কাছে অনুমাননির্ভর কথা, কিন্তু বিজ্ঞানে সেটা হলো বর্তমান তথ্য এবং উপাত্তের ভিত্তিতে যে সকল সিদ্ধান্তে তার উপনিত হয় যেটা তারা সত্য এবং মিথ্যা দুইদিকেই নিরপেক্ষভাবে পরীক্ষা করবে (নাল হাইপোথিসিস)। এখন যে ব্যক্তি ভাইরাসের সংখ্যাবৃদ্ধির(রেপ্লিকেশন) মলিক্যুলার কৌশল নিয়ে গবেষণা করে তাকে আপনি ওষুধের ডোজ কতো বা কোন দেশে কি পরিমাণ লোক আক্রান্ত হয় বা রোগের লক্ষণ কি এইসব জিজ্ঞাসা করা অপ্রাসংগিক হবে। ওষুধের ডোজ বা লক্ষণ কি হবে সেটা ডাক্তার বলতে পারবে আর কোন দেশে কি পরিমাণ লোক আক্রান্ত সেটা এপিডেমিওলজিস্ট বলতে পারবে। তার কাছে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হবে, ঠিক কোন কোষকে ভাইরাস আক্রমণ করে বা কিভাবে কোষের ভিতরে ঢুকে বা কোন কোন জিন এর এক্সপ্রেশন বন্ধ বা চালু করে ইত্যাদি। আবার ইমিউনোলিজস্টকে গিয়ে যদি জিজ্ঞাসা করেন সেলের ভিতরে কোন সিগনালিং পাথওয়ে বন্ধ করে সে হয়তো ভালো উত্তর দিতে পারবে না কিন্তু যদি জিজ্ঞাসা করে কোন ইমিউনসেল বা প্রতিরক্ষা কোষ রেসপন্স করে বা মেমোরি সেল কিভাবে আসে বা কোন সাবসেট সেল আসে সে উত্তর দিতে পারবে। এর বাইরে প্রশ্ন করলে সে উত্তর দিতে পারে ‘আমি জানি না’। আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করেন কত সপ্তাহ পর এইচ আই ভি টেস্ট করলে সঠিক রেজাল্ট পাওয়া যাবে আমি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকায় থাকবো। আমি হয়তো গুগল করে বলতে পারবো, সম্ভাব্য ইনফেকশনের তিন কি চার সপ্তাহ পর কিন্তু সেটা ভালো জানবে ডায়াগনোস্টিক এর লোকজন ।
২. গবেষণার সীমাবদ্ধতা ও আগ্রহের বিষয়
প্রতি গবেষণারই সীমাবদ্ধতা থাকে। পর্যাপ্ত টাকা, লোকবল, প্রযুক্তি, নির্ধারিত সংখ্যক স্যাম্পল, গবেষণার ফ্যাসিলিটি, আইনত বাধা (গেইন অন ফাকশন গবেষণা-পাদটিকা দেখুন) ইত্যাদির কারণে গবেষণায় সীমাবদ্ধতা থাকে। অনেক সময় সকল গবেষকের একই দিকে আগ্রহ থাকে না। যিনি ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কাজ করেন অধিকাংশ সময় ব্যাকটেরিয়ার বিভিন্ন প্রতিরক্ষা ব্যবস্হাকে তিনি শুধু প্রতিরক্ষা হিসেবে দেখেন, এটা মলিক্যুলার টুল(যন্ত্রপাতির ক্ষুদ্র অংশ) হিসেবে খুব কম লোকজনই দেখে যেখান মলিক্যুলার বায়োলজির যারা, সবকিছু মেকানিজম এবং টুল হিসেবে দেখতে পছন্দ করে। তাই তারা অনেক ব্যাকটেরিয়াল প্রোটিন বা ভাইরাল প্রোটিনকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারে (উদাহরণ ক্রিসপারকাস সিস্টেম, রেট্রোভাইরাল জিন ডেলিভারী)। প্রশ্ন করার সময় এই ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেন, সরাসরি প্রশ্ন চাইতে সম্ভাব্য প্রয়োগ জিজ্ঞাসা করলে সঠিক উত্তর পাবার সম্ভাবনা বেশি। যেমন, প্রথমে যে ক্রিসপারকাসের সিকুয়েন্স বের করলো বা মেকানিজম বের করলো তাকে সরাসরি: তুমি কি মনে করো এটা দিয়ে জিনোম এডিটিং করা যাবে? সম্ভবত তার উত্তর হবে, আমি জানি না। কারণ, সে মাত্র এটার মেকানিজম বের করলো এটা ভালো না খারাপ, কাজ করবে কিনা এটা এখনো নিশ্চিত রয়। একই প্রশ্ন যদি এভাবে বলা হয়, তোমার কি মনে হয় গাইড আরএনএ যদি আমরা নিজেরা তৈরি করে দেই তবে তারা ঐ নির্ধারিত টার্গেটের জিনকে নকআউট করবে। তার সম্ভাব্য উত্তর হবে, অবশ্যই।
৩. অকল্পনীয় বা সম্পর্কহীন কিছু না বলা
মলিক্যুলার বায়োলজির কাউকে গিয়ে যদি জিজ্ঞাসা করেন এলিয়েনদের ডিএনএ সিকুয়োন্সিং করা যাবে কি না? সে শুধু অপ্রাসঙ্গিক না, অকল্পনীয়। এই প্রশ্ন আপনি এস্ট্রোবায়োলজির(যারা আসলেই আগ্রহী কোর্সেরাতে কোর্স করতে পারেন) কাউকে জিজ্ঞাসা করুন। এতে প্রশ্নকারীর প্রতি রেগে যাবার সম্ভাবনা বেশি। সম্পর্কহীন বিষয়ে জিজ্ঞাসা না করা। যেমন ধর্মীয় গুরুর কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা, বিজ্ঞানের আলোকে মানুষের বিবর্তন ব্যাখ্যা করুন। কিংবা এভ্যুলুশন নিয়ে গবেষণাকারীকে জিজ্ঞাসা করা রোজার মাছআলা কি?
৪. গবেষণার পদ্ধতি বা মেথড নিয়ে প্রশ্ন
আপনার যদি পদ্ধতি বা মেথড গুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে এবং আপনি যদি জানতে চান কিভাবে করেছে তারা, জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তারা কেন এটা করলো বা কেন ঐ পদ্ধতি নিলো না ইত্যাদি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন। বিজ্ঞানীরা চোখ-মুখ বন্ধ করে কেউ তাদের গবেষণা বা কথা বিশ্বাস করবে এটা পছন্দ করে না। বরং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সঠিক উত্তর একই হলে সেটা ভালো। শুধু তাই না, অভিজ্ঞতা থাকলে তাদেরকে উপদেশও দিতে পারেন। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আপনার অভিজ্ঞতা থাকলে তারা আপনার কথা খুব গুরুত্ব সহকারে নিবে। যে ল্যাবে এ যাবেন সেই ল্যাবের গবেষণার ধরণ, তারা কি ধরণের উত্তর খোঁজে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। তারা কেন এই পদ্ধতি নিয়ে কাজ করে, সুবিধা-অসুবিধা কি বা অন্য উপায় কি জিজ্ঞাসা করুন।
৫. প্রশ্ন করুন
প্রশ্ন করুন। একদিনে কেউ দৌঁড়াতে শিখে না, প্রথমে আছাড়, তারপর হাঁটা, তারপর উসাইন বোল্ট। প্রশ্ন শুনে ১০০ জন হাসবে, কিন্তু ১০০ জন কিন্তু প্রশ্ন করার সাহস দেখায় না আর ১০০ জন উসাইন বোল্টও হয় না। প্রশ্ন করুন, প্রশ্ন কি প্রাসঙ্গিক না অপ্রাসঙ্গিক হলো মনে রাখুন, পরেরবার আরো ভালো করার চেষ্টা করুন। গবেষক হবার প্রথম ধাপ, প্রশ্ন করুন এবং উত্তর খুঁজুন। উত্তর যাচাই করুন, এই উত্তর যদি সঠিক হয়, তবে তার সাথে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের সম্ভাব্য উত্তর কি হতে পারে বিবেচনা করুন- এটাই হাইপোথিসিসের ক্ষুদ্র চেষ্টা।
পুনশ্চ:
১. লেখায় বাংরেজীর প্রভাব রয়েছে। দু:খিত
২. অনেক ক্ষেত্রে সহজে বুঝানোর জন্য বিভিন্ন টার্ম বা সংজ্ঞাগুলোকে যথাসম্ভব বাংলায় রূপান্তর করেছি।
৩. ভুলত্রুটি মার্জনীয়।
পাদটিকা:
১. লেটেনসি: অনেকভাইরাস দেহে ঢুকে নিষ্ক্রিয়ভাবে অবস্হান করে। দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা এদের খুঁজে পায় না। কারণ ঐ অবস্হায় ভাইরাস কোন সংখ্যাবৃদ্ধি করে না। ২. অর্গানয়েড: একটি ত্রিমাত্রীয় (থ্রিডি) সেল কালচার সিস্টেম। নির্দিষ্ট অঙ্গ(অর্গান) থেকে স্টেম সেল কে পর্যায়ক্রমে ঐ অঙ্গের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ ক্ষুদ্রাঙ্গ সৃষ্টি যেখানে দেহের ভিতরে যেভাবে অঙ্গ কার্যক্রম করে সেরকম পরিবেশে কালচার করা। আমরা এলজি৫ পজিটিভ স্টেম থেকে তৈরি লিভার অর্গানয়েড(হুব্রেক্ট ইন্সটিটিউটের প্রফেসর হান্স ক্লেভারের অবদান) নিয়ে কাজ করি।
৩. হ্যাপ্লয়েড মডেল সিস্টেম: মানুষ থেকে সংগৃহীত এই কোষগুলো বিশেষ অবস্হায় রেখে এদেরকে প্রায় হ্যাপ্লয়েড (ক্রোমোজোম ৮ সম্পূর্ণ ডিপ্লয়েড আর ১৫ এর আংশিক ডিপ্লয়েড) রাখা হয়। এই প্রক্রিয়ায় খুব সহজে নকআউট গবেষণা করা যায়।