ভয়ংকর মাথা ব্যথা? কাজকর্ম কিছুই করা যাচ্ছেনা? ভাবছেন আপনি মাইগ্রেনে ভুগছেন? উহুঁ! মাথার সব ধরনের ব্যথাই মাইগ্রেন নয়। মাইগ্রেন মাথা ব্যথার কোনো এক প্রকার মাত্র। এমন কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি এখনো আবিষ্কৃত হয়নি যা নিশ্চিত করতে পারে আপনি মাইগ্রেনে ভুগছেন।। কতিপয় কিছু উপসর্গ আপনার মাইগ্রেন জানান দিতে পারে।
মাইগ্রেন আসলেই কি?
আধকপালি ব্যথা বলে খ্যাত এই মাইগ্রেন এসেছে গ্রীক শব্দ ‘হেমিক্রানিয়া’ থেকে যার অর্থ ‘মাথার একদিকে ব্যথা’। হেমি মানে অর্ধেক, ক্রানিয়ন মানে খুলি। মাথার একদিকে হপ্য বলা হলেও মাথার দুদিকেই হতে পারে মাইগ্রেন পেইন।। বস্তুত, আজ থেকে পনেরো /বিশ বছর পূর্বে এই রোগের তেমন প্রাদুর্ভাব ছিল না। কিন্তু সময়ের কালস্রোতে প্রাকৃতিক পরিবেশের পরিবর্তনের সাথে সাথে এর ব্যাপকতা ও প্রসারিত হয়েছে। নারী, ধূমপায়ী এবং ৪৫ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি আরো বেশি। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় ২০ ভাগেরই মাইগ্রেন সমস্যা রয়েছে, যাদের তিন চতুর্থাংশই নারী। কি করে বুঝবেন আপনার মাইগ্রেন? ব্যথা শুরু হওয়ার আগে চোখ ঝাপসা হয়ে আসে? শারীরিক দূর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করেন? মাথা ঘোরানো বা চোখের সামনে রঙিন আলোকচ্ছটা দেখতে? বা বমিবমি ভাব? যদি থেকে থাকে এসব উপসর্গ আপনার মধ্যে, তবে আপনাকে নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে, আপনি মাইগ্রেনে ভুগছেন। যারা মাইগ্রেনের রোগী তাদের ব্যথা শুরু হওয়ার আগে থেকেই দেখা দিতে পারে নানা উপসর্গ। অতিরিক্ত হাই-তোলা, কাজে মনোযোগ নষ্ট হওয়া বা বিরক্তি বোধ করা, কিংবা বমিবমি ভাব হতে দেখা যাবে। কখনো কখনো ব্যথা শুরু হওয়ার আগে সকাল থেকেই পেট খারাপ হতে দেখা যায়। প্রথম দিকে মাথার একদিক থেকে চিনচিনে ব্যথা অনুভূত হলেও পরবর্তিকালে তা পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ব্যথা শুরু হওয়ার ৩-৪ ঘন্টা অবধি তা স্থায়ী হতে পারে। কিংবা কখনো তার স্থায়িত্বকাল দাঁড়াতে পারে দুই থেকে তিন দিন বা কয়েক সপ্তাহ।
মাইগ্রেন ঠিক কি কি ধরনের হতে পারে?
সাধারণত তিন ধরনের মাইগ্রেন হতে দেখা যায়।
- ক্লাসিক্যাল মাইগ্রেন: এ ধরনের মাইগ্রেনে মাথা ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য উপসর্গ যেমন, বমি ভাব বা বমি হওয়া, চোখে ঝাপসা দেখা ইত্যাদি থাকে। এ রোগ টা ১০ ভাগ লোকের মাঝে পাওয়া যায়।
- সাধারণ মাইগ্রেন : এ ধরনের মাইগ্রেনে শুধু মাথার উপরিভাগে ব্যথা দেখা যায়। অন্যান্য উপসর্গ যেমন, বমি ভাব বা বমি হওয়া ইত্যাদি থাকে না। এ ধরনের মাইগ্রেন আমাদের বেশি হয়ে থাকে। প্রায় ৫০ ভাগ মানুষ এই মাইগ্রেন দ্বারা আক্রান্ত হয়।
- জটিল মাইগ্রেন : এই ধরনের মাইগ্রেনে মস্তিষ্কের কান্ডের রক্ত সরবারহ কমে গিয়ে বিভিন্ন উপসর্গ (মাথা ঘোরা, কথা জড়ানো, চোখ দিয়ে দুইটা জিনিস দেখা ইত্যাদি) দেখা যায়।
মাইগ্রেন কেন হয়?
প্যাথোফিজিওলজির ভয়ংকর ব্যখ্যায় না গিয়ে চলুন সহজভাবেই জেনে নিই মাইগ্রেন কেন হয়। ধারণা করা হয়, টেনশন বা প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট মাইগ্রেনের ব্যথার প্রারম্ভে মস্তিষ্কে রক্ত সরবারহ কমে যায়। যার কিছুটা প্রভাব পড়ে অক্সিপিটাল এবং প্যারাইটাল নামক মস্তিষ্কের দুটি অংশের কার্যকারিতার উপর। ফলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া স্বরুপ মাথাব্যথার সৃষ্টি হতে শুরু করে। আবার যখন পুরোপুরিভাবে মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, তখন বহিঃমস্তিষ্কের ধমনী গুলোর প্রসারণ ঘটে- যা মূলত রক্তের মধ্যে বিদ্যমান ৫-হাইড্রক্সি ট্রিপটামিন (5-Hydroxy Trymtamine) নামক ব্রেনের উপাদানের উপস্থিতির উপর নির্ভর করে। তবে এই উপাদান টির সঠিক ভূমিকা সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখন ও সন্দিহান। বর্তমানে আমেরিকার ‘Association For the Study of Headache ‘ মাথাব্যথা তথা মাইগ্রেনের সঠিক কারণ ও প্রতিকার খুঁজে বের করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রায় অর্ধেকাংশ রোগ বা সমস্যাই বংশগত। অন্যান্য ব্যথার তুলনায় মাইগ্রেনের ব্যথার বংশগত প্রভাব বেশি- যা মূলত কোষের একক ‘জীন’ এর বৈশিষ্ট্যর উপর নির্ভর করে। প্রমাণ স্বরুপ, নেদারল্যান্ডস এর লিডেন বিশ্ববিদ্যালয় এর মেডিসিন ফ্যাকাল্টির একদল নিউরোলজিস্ট একজন মাইগ্রেন রোগীর দেহ থেকে মাইগ্রেনের সাথে সংশ্লিষ্ট জীন পৃথক করেন। পরবর্তিতে ঐ রোগীর মাইগ্রেনের ব্যথা আর দেখা যায়নি। সেই গবেষক দলের নেতা মাইকেল ফেরি ১০ টি পরিবারের ৬০ জন সদস্যের উপর গবেষণা চালিয়ে একই তথ্য প্রকাশ করেন। এছাড়া, যারা সবসময় ব্যক্তিগত বা পারিবারিক কারণে চিন্তাগ্রস্ত থাকেন বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি। তাছাড়া হঠাৎ করে কোন বিপদজনক খবর বা আবেগপ্রবণ অবস্থা এই মাইগ্রেনের জন্ম দেয়। আবার, গবেষকদের মতে মাথাব্যথার সাথে নির্দিষ্ট কিছু যৌন হরমোনের সংযোগ রয়েছে। তবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের এটা বেশি। অপরদিকে মিসিসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের একদল গবেষক ১০০ জন মহিলার উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, যাদের নিয়মিত মাসিক হয় না, তাদের এই মাইগ্রেনের হার বেশি। আবার অনেকের ক্ষেত্রে প্রত্যেক মাসিকের পূর্বাবস্থায় এই মাইগ্রেনের ব্যথা উঠতে পারে। অন্যদিকে যেসব মহিলা দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন তাদের মাঝেও এই রোগের লক্ষণ বেশি দেখা যায়। তাছাড়া, বর্তমানে আমাদের দেশসহ বিশ্বের বড় বড় শহরে পরিবেশে নির্গত বর্জ্য পদার্থ ও ধোঁয়া বিরূপ প্রভাব ফেলছে যার প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পড়ছে। আর এমনি এক প্রভাবের কারণ হিসেবে সৃষ্টি হয়েছে মাইগ্রেন। সম্প্রতি এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, গ্রাম অঞ্চলের লোকদের চেয়ে শহর অঞ্চলের লোকদের মাঝে এর প্রভাব বেশি।
ভাবছেন মাইগ্রেন কোন কিছু বা খাবারের দ্বারা প্রভাবিত হয় কিনা? হ্যাঁ! হয়। প্রথমত, কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা গ্রহণের পর মাইগ্রেনের ব্যথার তীব্রতা বেড়ে যায় বা হালকা ব্যথার ভাব থাকলে তা পরিপূর্ণ মাইগ্রেনের ব্যথায় রূপ লাভ করে। তার মাঝে নিম্নলিখিত খাবার উল্লেখযোগ্য :
১. চকোলেট
২. পনির
৩. আঙুরের রস
৪. মদ্যপান
৫. কোলাজাতীয় পানীয়
দ্বিতীয়ত, মাইগ্রেন রোগী কিন্তু পাশাপাশি সাইনাসসমূহের প্রদাহে ভুগছেন বা প্রচন্ড সর্দিকাশি বা ঠান্ডায় ভুগছেন। তাদের ক্ষেত্রে মাইগ্রেনের প্রকোপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। তৃতীয়ত, যখন প্রচন্ড গরম পড়ে এবং পরিবেশের অবস্থা ভ্যাপসা আকার ধারণ করে, তখন মাইগ্রেনের রোগীর মাথাব্যথার প্রকোপ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে শীতকালে যদি ঠান্ডা বাতাস বেশি লাগে বা কুয়াশা পরিবেষ্টিত অবস্থা বিরাজ করে তখন এর প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।
মাইগ্রেন হলে কী করবেন?
প্রথমত আপনার দৈনিক আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন। যেসব খাবার খেলে ব্যথা শুরু হতে পারে সেসব খাবার যেমন, চা কফি পনির আইস্ক্রিম মদ্য ইত্যাদি মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট, সাইট্রাস এবং টাইরামিন জাতীয় খাবার থেকে বিরত থাকা উচিত। জন্মবিরতিকরন ঔষধ সেবন না করাই শ্রেয়। পরিশ্রম, মানসিক চাপ ও দীর্ঘভ্রমণ বর্জনের মাধ্যমে মাইগ্রেন অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। এছাড়া বেশি সময় না খেয়ে থাকা যাবেই না।
চিকিৎসা
মাইগ্রেনের আক্রমণ কমানোর জন্য কিছু কার্যকর ঔষধ রয়েছে যেগুলো চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করা উচিত। সবচেয়ে বড় কথা হল, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই বারবার মাইগ্রেনের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাখবেন, সব মাথা ব্যথাই মাইগ্রেন নয়। দৃষ্টিস্বল্পতা, সাইনুসাইটিস কিংবা দাঁতে ব্যথা থেকেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
আপনার যদি চিকিৎসাবিজ্ঞান ভীতি থাকে, তবে নিচের প্যারাটা স্কিপ করতে পারেন।
যদি আপনার মাইগ্রেন হাল্কাভাবে এটাক করে তখন এ্যসিটোমিনোফেন, ibuprofen, এসপিরিন হিসাবে ওভার দ্য কাউন্টার ওষুধ ব্যথা কমাতে প্রায়ই সহায়ক (NSAIDs) তবে এই সব ওষুধ ব্যবহারে সচেতন থাকবেন কারণ সপ্তাহে ৩ দিনের অধিক গ্রহনে মাথা ব্যথা প্রতিঘাত হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু অতিরিক্ত এসিটামিনোফেন গ্রহণের জন্য যকৃতের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত ibuprofen বা এসপিরিন আপনার পেট irritate/ঘা জাতীয় কিছু করতে পারে। এসব ওষুধ কাজ না করলে আপনার ডাক্তার অন্য যেসব ব্যবস্থা নিতে পারেন- প্রথমত ভেগাস নার্ভ কে অচেতন বা বমি বন্ধের জন্য metoclopromide (মেটোক্লোপ্রমাইড বাজারে যা মোটিলিন, নিউট্রামিড, এন্টিমেট মেটোসিড নামে পরিচিত অথবা প্রকোরপিরাজিন (prochlorperazine) বাজারে যা স্টিমিটিল,,ভারগন বা প্রম্যাট নামে পাওয়া যায়- এসব দিয়ে থাকেন। অথবা ক্লাসিকাল মাইগ্রেনের জন্য
আরগোটামিন টারট্রেট ( Ergotamine Tartrate) ০.৫-১.০ মি.গ্রা. জিহ্বার নিচে, পায়ুপথে বা ইনহেলার বা শ্বাসের সাথে নিতে বলতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, এসকল ঔষধ চিকিৎসা তখন দেয়া হয় যখন বেশি ব্যথার সাথে সাথে দৃষ্টিজনিত সমস্যা বা স্নায়ঘটিত সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে সাবধান থাকবেন, গর্ভাবস্থায় ইশকেমিক হার্ট ডিজিজ (IHD-প্রান্তীয় রক্তনালীর বিশৃঙ্খলা ( Peripheral Vascular Disease) এই সব অসুখের বেলায়) সহসা আক্রান্ত মাইগ্রেনে সুমাট্রিপট্যান (sumatriptan) যা ব্রেনের উপাদান সিরোটোনিনের কাজের সহায়ক নতুন এক সংযোজিত ঔষধ। -মাত্রা : ১০০ মি.গ্রা. ২৪ ঘন্টায়। এটি ইনজেকশন হিসেবেও দিতে পারেন ৬ মি. গ্রা. চামড়ার নিচে। লক্ষণীয় : ২৪ ঘন্টায় যেন দুটির বেশি ইনজেকশন না পড়ে। এছাড়া নিবারক হিসেবে ( Beta Blockers) ট্যাবলেট প্রপানোলোল (বাজারে কার্ডিনল, ইনডিভার, প্রপানোল, এডলক হিসেবে পরিচিত), ট্যাবলেট পিজোটিফেন (Pizotifen), ট্যাবলেট এমিট্রিপটাইলিন ( বাজারে এমিট্রিল, সেরোনিল, এমিট্রিনটাইলিন, ট্রিপটিন নামে পরিচিত) ইত্যাদি ঔষধ চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন – নিম্নের ঔষধ গুলা বাজারে ভাল রিজান্ড দিতেছে, যেমন ট্যাবলেট ফ্লিনারিজিন (flunarizine) ১০-৫০ মি.গ্রা. করে প্রতিদিন খেলে মাইগ্রেনের তীব্রতা কমে আসে। হঠাৎ এটাকের সময় ট্যাবলেট রিজাট্রপটিন ( Rizatryption-5mg) ইত্যাদি খেলে তৎক্ষণাৎ ব্যথা কমে যায়। ‘স্টাডল’ ইনজেকশন বা নেসাল স্প্রে হিসেবে খুবই কার্যকর মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
কী কী খাবার মাইগ্রেনে উপকারী?
মাইগ্রেন সমস্যা প্রতিরোধী খাবার যেমন ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার, ঢেঁকি ছাঁটা চালের ভাত ও এ চালের বিভিন্ন পদ, আলু ও বার্লিন ইত্যাদি। বিভিন্ন ফল যেমন, খেজুর ও ডুমুর ব্যথা উপশম করে। -সবুজ, হলুদ ও কমলা রঙের শাকসবজি নিয়মিত খেলে উপকার হয়। -জল, হারবাল টি, হারবাল টির মধ্যে বেছে নিতে পারেন গ্রিন ট্রি। -ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তিল,আটা, বিট ইত্যাদি তে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে। আদার টুকরা বা রস দিনে দুইবার বা জিঞ্জার পাউডার জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। আপনি যদি স্টুডেন্ট ও কাজে ব্যস্ত থাকেন তাহলে আপনাকে ঔষধের পরিবর্তে প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমানোর জন্য বলা গেলো। এক্ষেত্রে আপনি ১০-১২ টি কাঠবাদাম খেয়ে নিন । কার্যকরী টিপস বলে, ১০-১২ টি কাঠবাদাম ২ টি এসপিরিন এর
কাজ করে।
মাইগ্রেন রোগী হলে আপনার জন্য বিশেষ কিছু কথা:
১. চিকিৎকের পরামর্শ ব্যতীত কোন ঔষধ খাবেন না।
২. ঔষধ যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল।
৩. প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমান। মাইগ্রেন প্রতিরোধী খাবার বেশি খান।
৪. মাইগ্রেন বাড়াতে পারে ওসব খাবার থেকে ১০০ হাত দূরে থাকুন।
৫. বেশি করে বিশ্রাম নিন ও চিন্তামুক্ত থাকুন।
৬. শরীরের প্রতি যত্নবান হোন।
সুস্থ থাকুন 🙂
আধকপালি শব্দটা আগে জানতাম না। ভাল লাগছে!