গত পর্বে এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গল কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারনা আমরা পেয়েছি। আজকের পর্বে তাহলে এক্সপোজার ট্রায়াঙ্গল এর অন্যতম উপাদান এপারচার (Aperture) নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
এপারচার শব্দটির সরাসরি বাংলা অর্থ হল ছিদ্র। ক্যামেরার লেন্সে সবার সামনে থাকে লেন্সের Glass elements, এরপরেই থাকে এপারচার প্লেটটি।
এই এপারচার বড় বা ছোট করে ক্যামেরার সেন্সরে কী পরিমাণ আলো প্রবেশ করছে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্বাভাবিকভাবেই ছিদ্র যত বড় হবে আলো তত বেশি প্রবেশ করবে, আর ছিদ্র ছোট হলে আলো কম প্রবেশ করবে। (এর থেকে বোঝা যায় যে এপারচার বড় করলে এক্সপোজার বেড়ে যাবে)
সমস্যা হল, এপারচার মাপা হয় যেই সংখ্যাটা দিয়ে (f-stop) সেটার সাথে লেন্সের প্রকৃত ছিদ্রটার ব্যাসের সম্পর্ক সম্পূর্ণ উলটা, ব্যস্তানুপাতিকঃ f-stop = focal length of lens / diameter of aperture
কাজেই f-stop যত কম হবে, ছিদ্রটা আসলে তত বড়। আর f-stop একটা বড় সংখ্যা হলে বুঝতে হবে এপারচারের ছিদ্রটা খুব একটা বড় কিছু নয়।
নিচের ছবিতে f-stop এর সাধারণত কী ধরনের মান হতে পারে সেটা দেখানো হলঃ
(f-stop এর মান X হলে সেটাকে “f/X” এভাবে লেখা হয়)
এখন আসা যাক কখন বড় এপারচারে(f-stop এর মান কম) আর কখন ছোট এপারচারে(f-stop এর মান বেশি) ছবি তুলব সেই প্রশ্নে।
Exposure এর উপর প্রভাব:
প্রথমত, ছবি তোলার সময় যদি আলো কম থাকে তখন বড় এপারচারে ছবি তোলা সুবিধাজনক, কারন এতে লেন্সে আলো বেশি পরিমাণে প্রবেশ করবে। কিন্তু এপারচার বেশি বড় হয়ে গেলে ছবি কিছুটা sharpness হারায়। কাজেই যখন পর্যাপ্ত আলো আছে তখন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া অনেক বড় এপারচারে ছবি না তোলাই ভালো। (সাধারণত f/8 – f/16 রেঞ্জে লেন্স থেকে সবচেয়ে ভাল শার্পনেস পাওয়া যায়)
এপারচার ছোট-বড় করার সাথে সাথে ছবির এক্সপোজারে কিরকম পরিবর্তন হয় তা নিচের ছবি থেকে বোঝা যায়ঃ
Depth Of Field এর ওপর প্রভাবঃ
এপারচার আরেকটা জিনিসের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে, সেটা হল “ডেপথ অফ ফিল্ড” বা DOF। এই DOF ব্যবহার করেই কোনো সাবজেক্টকে ফোকাসে রেখে তার foreground আর backgroundকে ঘোলা করে ফেলা যায় । সম্পর্কটা এরকমঃ
০১. এপারচার যত বড় হয়, DOF এর রেঞ্জ তত কম বা narrow হয়।
০২. DOF যত narrow হয়, ছবির “in-focus area”ও তত কম হয়।
In-focus area কম হলে ফোকাস পয়েন্টের সামনে(foreground) এবং পেছনে(background) যা যা আছে সেসব জিনিস out of focus হয়ে যায় এবং ঘোলা মনে হয়।
নিচের দু’টো ছবি দিয়ে এই ব্যাপারটা দেখানো যায়ঃ
DOF এপারচার ছাড়াও আরো কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, সে ব্যাপারে Depth of Field এর পর্বে আরো আলোচনা করা যাবে। আপাতত আজকে এতটুকুই থাক। 🙂
ভালো হয়েচে ভাইয়া। আরো লেখেন।