কোষ থেকে কোষান্তরে (১)             images

১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক বোতলের কর্ক পরীক্ষাকালে সম্ভবত চিকিৎসাবিজ্ঞানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার টি করে বসেন।আবিষ্কার করেন কোষ ।ইংরেজিতে cell.
Cell শব্দটি এসেছে ল্যাটিন cella হতে,যার অর্থ ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ(small room)
আর বাংলায় কোষ শব্দের অর্থ আধার,ধনভাণ্ডার। যেহেতু জীবদেহের সকল অত্যাবশ্যকীয় অঙ্গাণু কোষের অভ্যন্তরে থাকে,তাই বাংলায় cell এর প্রতিশব্দ করা হয়েছে ‘কোষ’!
এখন কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় লিখব।এগুলো তোমরা ৮ম শ্রেণী থেকে পড়ে আসছ,তারপরও লিখা! (নতুন কিছু জানতেও পার!)
কোষকে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে(নিউক্লিয়াসের ভিত্তিতে)-
১।Eu-karyotic cell:Eu=good,karyon=nucleus.(ভাল নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ,সাথে রয়েছে সকল প্রকার কোষীয় অঙ্গাণু)
• রাইবোসোম 70s এবং 80s
• DNA সূত্রাকার
• কোষ বিভাজন মাইটোসিস এবং মিয়োসিস ধরনের।
২।Pro-karyotic cell: Pro=আদি, karyon=nucleus (আদি নিউক্লিয়াসযুক্ত কোষ,রাইবোসোম ব্যতীত অন্য কোনো অঙ্গাণু নেই)
• রাইবোসোম 70s
• DNA বৃত্তাকার
• কোষ বিভাজন ঘটে অ্যামাইটোসিস প্রক্রিয়ায়।

এছাড়াও আরও এক একটি প্রকারভেদ আছে-
১। দেহকোষ( somatic cell)
2।জননকোষ(reproductive cell)
বোরিং লাগছে?
অকা।এবার চল আমরা একটা মজার কাজ করি।একটা আদর্শ কোষের ভিতর ঢুকে পড়ি!!! 😀
কোষের স্বাভাবিক আকার ১-১০০ মাইক্রো মিটার।এখন তোমাকে একটু কল্পনা করতে হবে :p । হলিউডি মুভির মত ধর কোনোভাবে তোমার আকার ১ ন্যানোমিটার হয়ে গেল(!)।আর যে আদর্শ কোষ টা তে আমরা ঢুকব ধরা যাক তার আকার ১ মাইক্রো মিটার।তাহলে এখন তুমি কোষের তুলনায় ১০০০ গুণ ছোট! তাহলে আর দেরি কেন? ঢুকে পড় ঝটপট।ও আচ্ছা,দাড়াও,আমিও আসছি 😀 ।আমি ঢুকব প্রাণিকোষে,তুমি উদ্ভিদকোষে!
Lets go!
plant3

উদ্ভিদকোষ

animal4

প্রাণিকোষ

• তুমি যখন উদ্ভিদকোষে ঢুকতে যাচ্ছ,প্রথমেই দেখবে কোষ প্রাচীর(cell wall)।কিন্তু আমি প্রাণিকোষে ঢুকব কোষঝিল্লী(cell membrane) দিয়ে।
• তুমি উদ্ভিদকোষে ইয়া বড় একটা কোষ গহ্বর(large central vacuole) দেখতে পাবে,কিন্তু আমি প্রাণিকোষে দেখব না। (ছোট ছোট কিছু দেখতে পাব কিন্তু!)
• তুমি উদ্ভিদকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট(এক প্রকার প্লাস্টিড) দেখবে,কিন্তু আমি প্রাণিকোষে দেখব না।
• তুমি উদ্ভিদকোষে নিউক্লিয়াস টা দেখবে একপাশে সরে গেছে(বিশাল কোষ গহ্বরের কারণে) ,আর আমি প্রাণিকোষে দেখব নিউক্লিয়াস টা ঠিক মাঝখানে।
• লাইসোসোম(lisosome) নামক একটা অঙ্গাণু দেখব আমি(উপরের চিত্রে দেখো হলুদ রঙা গোলাকার বস্তুটা),কিন্তু তুমি উদ্ভিদকোষে এরুপ কিছু দেখতে পাবে না।
• সেন্ট্রিয়োল দেখতে পাব আমি প্রাণিকোষে,যা তুমি উদ্ভিদকোষে দেখতে পাবে না।
• আমি গলগি বস্তু(golgi apparatus) খুঁজে পাবো নিউক্লিয়াসের নিকটে,কিন্তু তুমি উদ্ভিদকোষে পাবে নিউক্লিয়াস থেকে দূরে,গহ্বরের অপর পাশে(চিত্র এর সাথে মিলিয়ে দেখো) ।

এগুলো হল উদ্ভিদকোষ আর প্রাণিকোষের পার্থক্য। 
খুব সহজ কিছু জিনিস তুমি এতদিন মুখস্ত করেছ!!
এবার চল আমরা কোষের ভিতর থেকে ভিতরে যাই!আবার আগের মত করি,তুমি যেহেতু উদ্ভিদকোষে আছ,তুমি প্রথমেই ঢুকে পড় কোষ প্রাচীর এ,আর আমি চুপ করে বসে থাকি প্রাণিকোষে!(প্রাণিকোষে কোষ প্রাচীর নাই তো,কি করব বল! :p )

এইরকম একটা জিনিসই দেখতে পাবে তুমি,উদ্ভিদকোষের বর্ডার এ!

hh
চিত্রটা দেখে খুব জটিল লাগছে?আগা মাথা কিছুই বুঝছ না?বই এর কোষ প্রাচীর এর চিত্রটার সাথে কোনো মিল নেই তো? সব জটিলতার অবসান হবে! ধৈর্য ধর !
কোষ প্রাচীর প্রধানত ৩ টি স্তরে বিভক্ত-
• মধ্যপর্দা (middle lamella)
• প্রাথমিক প্রাচীর (primary cell wall)
• সেকেন্ডারি প্রাচীর(secondary cell wall)
চিত্রে সেকেন্ডারি প্রাচীর দেখানো হয় নি(কারন এটি সব কোষে থাকে না)
এটা দেখো,সেকেন্ডারি প্রাচীর আছে-

primary_secondary_cell_wall_middle_lamella1330138249714

তুমি প্রথমে লাফ দিয়ে মধ্যপর্দার উপর দাঁড়াও 😀 এবার দেখো, কি কি আছে!
 মধ্যপর্দা:
এখানে ঢু মারলেই দেখতে পাবে,এটি গঠিত হয় মূলত সাইটোপ্লাজম থেকে আসা ফ্র্যাগমোপ্লাস্ট এবং গলগি বডি থেকে আসা পেকটিন জাতীয় ভেসিকলস দ্বারা। তবে এটি মূলত একটি পেকটিন লেয়ার।
পেকটিন হল এক প্রকার কার্বোহাইড্রেট। এই পেকটিন লেয়ার বা মধ্যপর্দা ই দুটি কোষকে যুক্ত করে রাখে(উপরের চিত্রে দেখো)।সুতরাং কোষ থেকে কোষে বিভিন্ন বস্তু আদান প্রদানে এর ভূমিকা অপরিসীম।
চিত্রে দেখে নাও আবার (মধ্যপর্দা ও পেকটিন)-

index

(গোলাপি রঙা পুতির মালাটা,দেখেছ? :p )

 প্রাথমিক প্রাচীর:
এবার মধ্যপর্দা ভেদ করে প্রাথমিক প্রাচীরে ঢুকে পড়,প্রাথমিক প্রাচীর গঠিত মূলত মধ্যপর্দার ওপর সেলুলোজ,হেমিসেলুলোজ,গ্লাইকোপ্রোটিন ইত্যাদি জমা হয়ে।
সেলুলোজ এবং হেমিসেলুলোজ মিলে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করে,যেখানে হেমিসেলুলোজ cross-link হিসেবে কাজ করে(যেমন xyloglucan).

jj
উপরে দেখে নাও প্রাথমিক প্রাচীর এর নেটওয়ার্কটি .
 সেকেন্ডারি প্রাচীরঃ
এখানে ঢুকার পর তুমি দেখবে,প্রাথমিক প্রাচীর এর ওপর আরেকটি পুরু স্তর(৫-১০ মাইক্রো মিটার,৩ স্তরবিশিষ্ট) যা গঠিত হয় সেলুলোজ এবং লিগনিন দ্বারা।এদের কাজ দৃঢ়তা প্রদান করা।
 পিট পেয়ার:মাঝে মাঝে দুটি কোষের মাঝখানে কেবল মধ্যপর্দা থাকে,তখন এটিকে পিট পেয়ার বলে।কারন প্রাথমিক প্রাচীর আর সেকেন্ডারি প্রাচীরবিহীন কেবল মধ্যপর্দা কে পিট মেমব্রেন বলে,আর দুটো মুখোমুখি পিট মেমব্রেনকে পিট পেয়ার।

এই হল কোষ প্রাচীর। 
চিত্রগুলো দেখে নাও আবার!

hh

primary_secondary_cell_wall_middle_lamella1330138249714
(বইতে দেয়া চিত্রটা বুঝেছ এবার, এ চিত্রটা কেই মাঝখানে কেটে শুধু মধ্যপর্দা টা রেখেছে!)

এবার কোষ প্রাচীর এর কাজ সম্পর্কে অনায়াসে বলতে পারবে তো?(বই এর লেখা আর মুখস্ত করা লাগবে না!)
• প্রয়োজনীয় শক্তি ও দৃঢ়তা প্রদান করা।(একটু আগেই পড়েছি,সেকেণ্ডারি প্রাচীরের সেলুলোজ আর লিগনিন এর মাধ্যমে।)
• কোষের নির্দিষ্ট আকৃতি দান
• পানি ও খনিজ লবণ পরিশোষন(পিট পেয়ারের মাধ্যমে)
• কোষগুলোকে পরস্পর পৃথক রাখা

কোষ প্রাচীর তো ঘুরে এলে,এবার তোমার জন্য কোটি টাকার প্রশ্ন-
কোষ প্রাচীরের মূল উপাদান কি?

উত্তর একদমই সোজা।চিন্তা কর।এখনি উত্তর বলব না।আগে চল কোষঝিল্লী ঘুরে আসি,তারপর বলব।

plasma-membrane.png

কোষঝিল্লী তে ঢুকার সময় তুমি যে বলগুলো(!) দেখবে ওগুলো আসলে ফসফোলিপিড লেয়ারের অগ্রভাগ(পোলার ফসফেট মাথা)।আর ঢুকবার সময় তুমি ভালই পানিয় পরিবেশ(hydrophilic) অনুভব করবে,কিন্তু মাঝপথ অতিক্রম করার সময় শুকনো মরুভূমি(hydrophobic) অতিক্রম করছ বলে মনে হবে!
আর মাঝখানে মাঝখানে তুমি কিছু অনিয়ত আকৃতির বস্তু দেখতে পাবে(ছোট,বড়,মাঝারি-বিভিন্ন সাইজ),এগুলো হল প্রোটিন অণু।
এছাড়া দেখবে ঝিল্লীর উপরের সার্ফেসে চিনির স্তর।

এবার চল তুমি যা দেখলে তা বই এর ভাষায় বর্ণনা দেই।

তুমি যে কোষঝিল্লী টা কোষের ভেতরে দেখেছ,দুইজন বিজ্ঞানী(সিঙ্গার এবং নিকলসন) তা মাইক্রোস্কোপে দেখে একটি মডেল দাঁড় করিয়েছেন,নাম দিয়েছেন ফ্লুইড-মোজাইক মডেল(ফ্লুইড-মোজাইক কেন তার ব্যাখ্যা দিব)
এ মডেল এর আদলে কোষঝিল্লীর বিভিন্ন অংশ-
• লিপিড বাইলেয়ার
• প্রোটিন অণু
• গ্লাইকোক্যালিক্স
 লিপিড বাইলেয়ারঃএটি মূলত ফসফোলিপিড(ফসফেট এবং লিপিড) বাইলেয়ার।প্রতিটি লেয়ার গঠিত হয়-
o ‘এক অণু গ্লিসারল,দুটি নন পোলার ফ্যাটি এসিড লেজ’,মানে লিপিড আরি!
o একটি পোলার ফসফেট মাথা( তুমি যে বলগুলো দেখেছিলে!!)
এই ফসফোলিপিড লেয়ারের অগ্রভাগ(যেদিক দিয়ে তুমি ঢুকেছ),যা মূলত পোলার ফসফেট মাথা,পোলার হওয়ায় পানি আকর্ষী(hydrophilic),(যেহেতু পানি পোলার )
আর লেজ অংশ (নন পোলার ফ্যাটি এসিড লেজ) হল পানি বিকর্ষী,hydrophobic(hydro=পানি,phobia=আতঙ্ক) ।
এখন,তোমার কাছে প্রশ্ন,কোষঝিল্লীর লিপিড বাইলেয়ার দিয়ে কি পানি পরিবহন সম্ভব?
উত্তর –হ্যাঁ,কারন পানি চার্জবিহীন ছোট অণু এবং পোলার।(যেহেতু লিপিড বাইলেয়ার এর অগ্রভাগ পোলার,পোলার ফসফেট মাথা)।এরকম আরও রয়েছে urea,ethanol
তবে পানিতে দ্রবনীয় আয়ন,(যেমন Na+,Ca2+,Cl-,K+)এবং চার্জবিহীন বড় অণু(গ্লুকোজ) লিপিড বাইলেয়ার দিয়ে পরিবাহিত হবে না।তাহলে ওরা কিভাবে কোষের অভ্যন্তরে ঢুকবে?
সেটা একটু পরেই জানবে।
তবে লিপিড এ যেসব বস্তু দ্রবণীয়(যেমন বিভিন্ন গ্যাস,অক্সিজেন,কার্বন ডাই-অক্সাইড,নাইট্রোজেন) এরা সরাসরি ব্যাপনের মাধ্যমে কোষঝিল্লী ক্রস করে কোষের ভেতর প্রবেশ করে।তারমানে কোষঝিল্লী কিছু জিনিসের জন্য ভেদ্য,আর কিছুর জন্য অভেদ্য।তাই এর প্রকৃতি হল semi-permeable(বৈষম্যভেদ্য)
সহজ ভাষায়-
• যেহেতু কোষঝিল্লী মূলত লিপিডধর্মী,তাই লিপিডদ্রবনীয় বস্তুগুলো সহজেই ফসফোলিপিড বাইলেয়ার দিয়ে ক্রস করতে পারে।আর কিছু পোলার এবং চার্জবিহীন ছোট অণু(বড় অণু কিন্তু পারে না!),যেমন-পানি ক্রস করতে পারে পোলারিটির জন্য।
• আর লিপিড এ অদ্রবনীয় বস্তু ফসফোলিপিড বাইলেয়ার ক্রস করতে পারে না,যেমন বিভিন্ন charged particle, glucose etc.
নিচের table তা দেখতে পার-

বস্তুর ধরন উদাহরন প্রকৃতি
গ্যাস oxygen,carbon dioxide,nitroge ভেদ্য
ছোট চারজবিহীন পোলার অণু water,urea আংশিক বা পুরোপুরি ভেদ্য
বড় চার্জবিহীন পোলার অণু glucose,fructose অভেদ্য
আয়ন K+, Na+, Cl−, HCO3− অভেদ্য

তাহলে এবার বুঝলে তো,কোষঝিল্লীর ফসফোলিপিড লেয়ার টা আসলে কিরকম?
আরেকটু সহজ করে দিই,স্যান্ডউইচ খেয়েছ তো নিশ্চয়?কোষঝিল্লীর ফসফোলিপিড বাইলেয়ার হল মোটামুটি স্যান্ডউইচ এর পাউরুটির দুটি স্তর!
উপরে আর নিচে পাউরুটি,মাঝখানে চিকেন বা বিফ থাকে তো?
কিন্তু কোষঝিল্লি তে থাকে মাঝখানে থাকে প্রোটিন!!
দেখে নাও ফসফোলিপিড বাইলেয়ার আরেকবার-

kk

এখানে প্রোটিন অণু দেখানো হয় নি,শুধু লেয়ার টা বুঝানো হয়েছে।প্রোটিন অনুসহ আগের চিত্রটা তে দেয়া আছে।
ফসফোলিপিড বাইলেয়ার তো দেখলে,এবার প্রোটিন অণু গুলো ঘুরে আসি চল!
• প্রোটিনঃ কোষঝিল্লীর প্রায় ৫০% ই প্রোটিন।
৩ ধরনের প্রোটিন অণু আছে-
১। Integral protein-এগুলো ঝিল্লীর উভয় সার্ফেস জুড়ে থাকে।
২। Lipid anchored protein(লিপিড সম্পৃক্ত প্রোটিন)-এগুলো লিপিড স্তরের ভেতরে থাকে।
৩। peripheral protein-এগুলো সার্ফেসে থাকে।
দেখে নাও প্রোটিনগুলো আবার-

plasma-membrane-struture

Integral protein এর অপর নাম হল transmembrane protein ,অর্থাৎ এরা ঝিল্লির উভয় তলে বিস্তৃত।
কিছুক্ষন আগেই বলছিলাম,লিপিড বাইলেয়ার দিয়ে কিছু বস্তু(বিভিন্ন আয়ন,গ্লুকোজ) কোষের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না,সেগুলো আসলে এই মেমব্রেন প্রোটিন গুলোর মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। 

• গ্লাইকোক্যালিক্সঃ গ্লাইকোলিপিড এবং গ্লাইকোপ্রোটিন কে একত্রে গ্লাইকোক্যালিক্স বলে।
তুমি ঝিল্লীর উপরে যে চিনির স্তর দেখেছিলে!-ওটা আর কি!

কোলেস্টেরলঃ আমি যেহেতু প্রাণিকোষে ঢুকেছি,তাই এটা আমি দেখব।কারন কেবল প্রানীকোষেই এটি দেখা যায়।
চিত্রে দেখে নাও গ্লাইকোলিপিড ও কোলেস্টেরল-

gfd

কোষঝিল্লী ভ্রমন তো শেষ,এবার আসল কথাটা বলি। ফ্লুইড-মোজাইক মডেল এর নামকরনের কারন-
ঝিল্লীর উভয় পাশে থাকে পানি(ফ্লুইড),মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখার সময় লিপিড বাইলেয়ার থেকে ফ্লুইড কে আলাদা করা সম্ভপর হয়ে ওঠে না,কিন্তু প্রোটিন অণুগুলো ঠিকই দেখা যায়।প্রোটিন অনুগুলো দেখতে অনেকটা মোজাইক এর মত মনে হয়,যেন ভেসে বেড়াচ্ছে ফ্লুইড এর মাঝে!
তাই সিঙ্গার এবং নিকলসন তাঁদের মডেলটির নাম দিলেন ফ্লুইড-মোজাইক মডেল! 

আর হ্যাঁ ,কোটি টাকার প্রশ্নের উত্তর-কোষপ্রাচীরের মূল  উপাদান হল সেলুলোজ।
আজ আর ঘোরাঘুরি না করি,কি বল! :p এখন যেদিক দিয়ে ঢুকছিলাম আমরা চল আবার সে রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাই!
ও আচ্ছা,তোমার ন্যানোমিটার আকারটাও বদলে ফেল এখন :p আগামী পর্বে আবার এই আকার ধারন করব আমরা,যাব সাইটোপ্লাজমে-ঢুকব কোষ থেকে কোষান্তরে!

Imranul Haque

Imranul Haque

Imranul Haque

Latest posts by Imranul Haque (see all)